দেশ 

Muhammad Zubair: ধৃত সাংবাদিক মহম্মদ জুবেরকে মুক্তির নির্দেশের পর উত্তরপ্রদেশ সরকারকেও কড়া ধমক দিল শীর্ষ আদালত, কী কী বলল সুপ্রীম কোর্ট জানতে হলে ক্লিক করুন

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : আজ বুধবার দুপুরে ধৃত সাংবাদিক মহম্মদ জুবেরকে আজই জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আজ সন্ধ্যা ছটার মধ্যে তাকে ছেড়ে দিতে হবে বলে সুপ্রীম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে।

AltNews এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ জুবাইর আজ সুপ্রীম কোর্টে জামিনের আবেদন করেন। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে সুপ্রীম কোর্ট আজ তাঁর জামিন মঞ্জুর করে। তবে এই জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে উত্তর প্রদেশের সরকার। এর পর উত্তর প্রদেশ সরকারের আইনজীবিকে রীতিমত ধমক দেন বিচারপতিরা। বিচারপতিরা বলেন,‘‘জুবেরকে ক্রমাগত আটকে রাখা এবং অন্তহীন ভাবে বিভিন্ন কোর্টে মামলায় জড়িয়ে রাখার কোনও যৌক্তিকতা নেই।’’

Advertisement

প্রসঙ্গত, জুবেরকে ২৭ জুন গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। মূলত বিভিন্ন খবরের সত্যতা যাচাইয়ের কাজ করে ওই বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমটি। প্রায় চার বছর আগেই একটি টুইটে জনপ্রিয় হিন্দি সিনেমার ‘স্ক্রিনশট’ পোস্ট করেছিলেন তিনি। জুবেরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৮ সালে করা তাঁর একটি টুইট ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে। তাঁকে সীতাপুরের একটি মামলাতেও পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। দু’টি মামলাতে জামিন পেলেও পরে উত্তরপ্রদেশে তাঁর বিরুদ্ধে আরও কয়েরটি এফআইআর করা হয়েছিল। সব মিলিয়ে মোট ছ’টি এফআইআরের জন্য জেল থেকে ছাড়া পাননি জুবের। সে সব প্রত্যাহারের জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করলে সাময়িক স্বস্তি মেলে। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট জানায়, পরবর্তী শুনানির আগে পর্যন্ত জুবেরের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। শীর্ষ আদালতের মন্তব্য, ‘‘আমরা দেখতে পেয়েছি যে দিল্লি পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে ভালই তদন্ত করেছে। তাঁর মুক্তির পথে বাধা তৈরি করে, এমন কোনও কারণ দেখতে পারছি না আমরা।’’

এরপর উত্তরপ্রদেশ সরকারের আইনজীবি আদলতের কাছে আবেদন করেন, জামিন পেলেও জুবের যাতে টুইট করতে না পারেন,সেই নির্দেশ দেওয়ার জন্য। উত্তরপ্রদেশ সরকারের আইনজীবির এই অনুরোধ শুনে বেশ কটাক্ষপূর্ণ মন্তব্য করেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।

তিনি বলেন, ‘‘এটা এমন বলা যেন এক জন আইনজীবী আর তর্ক করতে পারবেন না। সাংবাদিক কী ভাবে তাঁর লেখা বন্ধ করবেন? যদি তিনি এমন কাজ করেন, যাতে আইনভঙ্গ হয়, তবে তিনি আইনের কাছে দায়বদ্ধ হবেন। কিন্তু, সরব হলেই এক জন নাগরিকের বিরুদ্ধে আগে থেকে কী ভাবে পদক্ষেপ করা যায়? প্রত্যেক নাগরিকই জনসমক্ষে এবং ব্যক্তি জীবনে যা করেন, তার জন্য তিনি দায়বদ্ধ। আমরা এমন কোনও নির্দেশ দেব না।’’

 

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ